Skip to content
Home » ড্রাইভিং লাইসেন্স করার উপায়-প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও পদ্ধতি

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার উপায়-প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও পদ্ধতি

  • by
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার উপায়-প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও পদ্ধতি

আপনারা যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগের সহিত দেখতে থাকুন। কেননা আমরা আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক কিভাবে করবেন এবং এর ড্রাইভিং শেষ করতে আপনার কি কি কাগজপত্র লাগবে প্রেজেন্ট নিও জিনিসপত্র খরচ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি। এ সকল বিষয় নিয়ে আমরা আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আপনি কি একজন ড্রাইভার তাহলে আপনাকে অবশ্যই গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে। আর আপনাকে কাজটি করতে হবে বিডিআর অফিস থেকে সরকারিভাবে লাইসেন্স দিতে হবে।

এজন্য আপনাকে কতগুলো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শো করতে হবে সরকারি আইন অনুসারে। সাধারণত পাস করবার ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা গাড়ি রেজিস্টার করার কথা ভাবলে প্রথমে মাসের মাথায় আসে কাকে দিয়ে আমরা এর ড্রাইভিং লাইসেন্স করব অথবা সাধারণত ভাবি কোন দালাল দিয়ে আমাদের আই ভিনেসিস ঠিক করা বা কোন দালালে মারফতে আমরা কাজটি করব কোন দালাল কত টাকা নিবে এসব।

কিন্তু বর্তমান সময়ে এখন আপনারা অনলাইনে ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কাজ করতে পারেন। এজন্য সরকারিভাবে আপনাকে সামান্য ফ্রি প্রদান করতে হবে। এছাড়া আপনি সরাসরি বিডিআর অফিসে যোগাযোগ করে নিজে সকল কাগজপত্র জমা দিয়ে নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি করতে পারে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সমূহ

তবে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পূর্বশর্ত হলো লায়লার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স শাখা। তবে আবেদনকারী নিতম যোগ্যতা হলো অবশ্যই অষ্টম শ্রেণী পাস এবং আবেদনকারীকে অপেশাদার লাইসেন্স গ্রহণের জন্য ১৮ বছর এবং পেশাদার লাইসেন্স করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ২১ বছর হতে হবে।

ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন

বর্তমান সময়ে এসে আপনারা ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারেন এজন্য কোন দালাল বা অন্য কোন কারক চিন্তা আপনাকে করতে হবে না। বর্তমান বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তাই ঘরে বসেই আমরা সকল ধরনের কাজকর্ম করতে পারি তাই বর্তমানে দালালমুক্ত করতে আমরা ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারি। এজন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সময় অনলাইনে আবেদন করতে হবে গ্রাহক যদি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতেছে তাহলে তার স্থায়ী ঠিকানা বর্তমান ঠিকানা প্রয়োজনীয় প্রমাণিতসহ বিদ্যুৎ ও গ্যাসবিলের ফটোকপি দিয়ে বিডিআর রে সার্কেল অফিস আবেদন করতে হবে।

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রকৃতি

  1. পেশাদার হালকা: ( অবশ্যই মোটরযানের ওজন ২৫০০ কেজি এর নিচে) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে।
  2. পেশাদার মধ্যম: ( অবশ্যই মোটরযানের ওজন ২৫০০-৬৫০০ কেজি এর নিচে) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার বয়স কমপক্ষে 23 বছর হতে হবে এবং পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ব্যবহার কমপক্ষে ৩ বছর হতে হবে।
  3. পেশাদার ভারী: (মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশী) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৬ বছর হতে হবে এবং পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।

লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফীঃ

(ক) ০১ (এক) ক্যাটাগরি-৩৪৫/-টাকা (শুধু মোটরসাইকেল অথবা শুধু হালকা মোটরযান অর্থাৎ যে কোনো এক ধরণের মোটরযান)

(খ) ০২ (দুই) ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা  (মোটরসাইকেল এবং হালকা মোটরযান একসাথে অর্থাৎ মোটরসাইকেলের সাথে যে কোনো এক ধরণের মোটরযান

ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের জন্য কাগজপত্র সমূহ

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু কাগজপত্র জমা করতে হবে যেগুলো আপনি বিডিআর অফিসে জমা করতে পারেন। কাগজপত্র সমূহ কি কি লাগবে সে বিষয়ে নিচে উল্লেখ করেছি।

  • নির্ধারিত ফরমে আবেদন
  • রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • ন্যাশনাল আইডি কার্ড অর্থাৎ আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি।
  • নির্ধারিত ফি
  • পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য খরচ ১৬৭৮ টাকা।
  • অপেশাদার দের জন্য নির্ধারিত ড্রাইভিং লাইসেন্স খরচ ২৫৪২ টাকা।
  • পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন।
  • সদ্য তোলা এক কপি রঙিন ছবি পাসপোর্ট সাইজের।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের জন্য

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  • ১. নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
  • ২. রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
  • ৩. ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।
  • ৪. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ।
  • ৫. নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ।
  • ৬. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
  • ৭. সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স

গ্রাহকের প্রথমেই নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণ 15 দিনের মধ্যে হলে ২৪২৭ টাকা ও মেয়াদ উত্তীর্ণের 15 দিন পর হলে প্রতিবছর 230 টাকা করে জরিমানা সহ। জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিআরটিএ নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের আবেদন পত্র এবং সংযুক্ত কাগজপত্র ঠিক পাওয়া গেলে একই জিনের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক গ্রহণ করা হয়। স্মার্ট কার্ড পৃন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহকের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *